চাকরির প্রলোভনে আ’লীগ নেতার ধর্ষণ, বিয়ের পর তালাক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করলেও পরে তালাক দেন।

এ ঘটনায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরণজাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাতের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই কলেজছাত্রী।

সোমবার রাজশাহীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে মামলার খবর পেয়ে ওই ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন আনোয়ার সাদাত। ফলে নিরুপাই হয়ে ওই ছাত্রী বুধবার বিকালে তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের দিকে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের এক কলেজছাত্রীকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেন আনোয়ার সাদাত। এতে ওই ছাত্রী রাজি হলে দুই লাখ টাকা খরচ চান তিনি। তার প্রলোভনে ৪০ হাজার টাকা দেন।

পরে থানা পর্যায়ের নেতার কাছে সাক্ষাতের নামে বিভিন্ন সময়ে ডেকে নেন আওয়ামী লীগ নেতা। এভাবে বেশ কয়েক মাস পরে ওই ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন আনোয়ার সাদাত।

কলেজছাত্রী জানান, তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সন্তান নষ্টের পদ্ধতি গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা। পরে গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিয়ে হয়। তবে ওই নেতার প্রথম স্ত্রী সন্তান থাকায় তাকে বাড়ি নেননি।

তিনি জানান, কৌশলে সব কিছু গোপন রেখে বিয়ের ১৮ দিন পর তাকে তালাক দেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্তু পাঁচ মাস ধরে তা গোপন রাখে। এনিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি আদালতে যেতে বলেন।

তানোর থানার ডিউটি অফিসার নাজমুল হক জানান, বুধবার বিকালে থানায় জিডি করেছেন ওই কলেজছাত্রী।

আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার সাদাত বলেন, তার মামা সরণজাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মামা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। ভোটে প্রভাব ফেলার জন্য ওই কলেজছাত্রীকে তার পিছে লেলিয়ে দেন প্রতিপক্ষের লোকজন। ফলে নিরুপায় হয়ে তিনি বিয়ে করেন।

মেয়েটি চরিত্রহীন বলে পরে তাকে তালাক দেন বলে জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।