‘ছবিটি এখন বিকৃত মনে হচ্ছে না’ বহিষ্কৃত আ. লীগ নেতার

বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারিক সালমনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

মামলা প্রত্যাহারের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মামলার বাদী বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি (আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত) ওবায়েদুল্লাহ সাজু। এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক অমিত কুমার মামলাটি খারিজ করে দেন।

ওবায়েদুল্লাহ সাজু বলেন, ‘ছবিটি যে একটি শিশুর আঁকা সেটি আমার জানা ছিল না। তা ছাড়া প্রথমে বিকৃত মনে হলেও পরে মনে হয়েছে ছবিটি আসলে বিকৃত নয়। যে কারণে আমি মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’

আদালতে উপস্থিত বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহসান হাবীব জানান, মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের শুনানির সময় ইউএনও তারিক সালমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এজলাস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ইউএনওকে হাতকড়া পরিয়ে টেনেহিঁচড়ে আদালত থেকে হাজতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে আদালত পুলিশের ছয় সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে এ নির্দেশ জারি করা হয়।

গত ৭ জুন ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদুল্লাহ সাজু। মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, আগৈলঝাড়া উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্কিৃত করে ছাপা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বিকৃত ছবি দেখে মর্মাহত হয়ে তিনি পাঁচ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলা করেন।

ওই মামলায় বিবাদী ইউএনও গাজী তারিক সালমনকে সমন দেওয়া হয়। এরপর গত ১৯ জুলাই বুধবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজির হন ইউএনও। তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন জেলার মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. আলী হোসাইন। প্রায় তিন ঘণ্টা কোর্টহাজতে থাকার পর দুপুর ২টায় আবার তাঁকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন একই বিচারক।