ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, ৩ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পরোয়ানা

স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

এ ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ রোববার এ পরোয়ানা জারি করেন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মুহিতুল হক।

এই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ ছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ রিয়াদ ও মাহমুদুল হাসান রুদ্রর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়।

এর আগে যৌন হয়রানিতে এই তিনজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। গত ৪ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা তাসলিমা শারমিন।

গত ১২ এপ্রিল সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন এক নারী। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল শাবিপ্রবি শহীদ মিনারের সামনে তাঁর মেয়েকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ করেন বাদী।

ওই নারীর মেয়ে এ বছর সিলেট নগরীর একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। ওই দিন এক আত্মীয়র সঙ্গে শাবিপ্রবিতে বেড়াতে গিয়ে সে যৌন হয়রানির শিকার হয় বলে মামলায় অভিযোগ করেন তার মা।

মামলা দায়েরের পর ওই দিনই বিচারক মুহিতুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা তাসলিমা শারমিন এই তদন্তের দায়িত্ব পান।

জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে তাসলিমা শরমিন উল্লেখ করেন, ভিকটিমের প্রতি আসামি রিয়াদ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে ও সিগারেটের ধোয়া ছুড়ে। আসামি রুদ্র ওই মেয়েকে চড়-থাপ্পর মারে এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অপরাধ সংঘটিত করছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এই আসামিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সাক্ষী নবিউল দিপু ও সর্দার আব্বাসকে মারধর করেছে বলেও প্রমাণ মিলেছে।