‘জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন ১ কোটি ৭০ লাখ ইয়েমেনির’

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ মানুষের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। জাতিসংঘ বলছে, এই ইয়েমেনিরা জানেন না যে, তারা কোথায় এবং কীভাবে খাবার পাবেন। এছাড়া দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে আছেন প্রায় ৭০ লাখ ইয়েমেনি। দেশটিতে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ পানির অভাবে ভুগছেন।

জাতিসংঘের মানবিক কল্যাণ এবং জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী স্টিফেন ও’ব্রায়েন শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এটা তার জন্য দুঃখজনক যে গত দুই বছরে সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেননি।’

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ইয়েমেনের দুর্যোগ যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কর্মকাণ্ড, তাদের শক্তিশালী সমর্থকদের ইচ্ছাকৃত নীতি এবং কৌশলের সরাসরি ফলাফল।

ও’ব্রায়েন বলেন, শুধুমাত্র ৪৫ শতাংশ স্বাস্থ্য সুবিধা আছে ইয়েমেনে। এছাড়া দেশটির স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষকসহ প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী গত অক্টোবরের পর থেকে বেতন-ভাতা সামান্য পেয়েছেন অথবা পাননি। এই মানবিক ট্র্যাজেডি যুদ্ধরত পক্ষগুলোর স্বেচ্ছাপ্রণোদিত কাজের ফল।

জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে বার বার উপেক্ষা করে ইয়েমেনের এই যুদ্ধ নিষ্ঠুর এবং নৃশংস হয়ে উঠছে। ২০১৬ সালের চেয়ে চলতি বছরে দেশটিতে বিমান হামলার পরিমাণ তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা মাসে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

কলেরার বিস্তারের ব্যাপারে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এই মহামারি মোকাবেলায় কঠোর পরিশ্রম করছে; যা সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রায় পাঁচ লাখ ইয়েমেনি আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে কলেরায়।

আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যভূক্ত দেশগুলোকে যুদ্ধরত শক্তিগুলোর প্রতি চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে শিগগিরই দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন ও’ব্রায়েন।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।