জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে সৌদি জোট!

ইয়েমেনে বেসামরিক শিশু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক এ সংস্থার আল-সাড়ি নামে নতুন একটি প্রতিবেদন আগামী মাসে প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনে সৌদি জোটকে জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্তির দাবি জানানো হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফরেন পলিসি জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ফরেন পলিসির দাবি, জাতিসংঘের প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা ওই প্রতিবেদনের একটি কপি তারা পেয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে শিশুদের হত্যা ও পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দেয়ার অভিযোগে সৌদি জোটকে কালো তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

Bisk Club
জাতিসংঘের শীর্ষ উপদেষ্টাদের পরামর্শের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয় আল-সাড়িতে। এদিকে, এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে সৌদি কর্মকর্তারা উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সৌদি জোটকে যাতে কালো তালিকাভূক্তি না করা হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রও তদবির শুরু করেছে।

ফরেন পলিসি বলছে, কিছু ব্যক্তিকে পৃথকভাবে কালো তালিকাভূক্ত করতে জাতিসংঘের উপর চাপ প্রয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কর্মকর্তারা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু দেশকে কালো তালিকাভূক্ত বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছে। কারণ হিসেবে বলছে, জোটের যেসব দেশ অভিযান পরিচালনা করছে; তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে সৌদি জোট।

এতে বলা হয়েছে, নতুন ওই প্রতিবেদন জাইতসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটেরাসকে দ্বিধার মধ্যে ফেলবে। এছাড়া তিনি যদি শুধুমাত্র সৌদি আরবকেই দায়ী করেন, তাহলে আরব রাষ্ট্রের অন্যান্য দেশগুলো উসকে যেতে পারে। যদি তিনি তা না করেন, তাহলে মানবাধিকারের জন্য জাতিসংঘের অঙ্গীকার উপেক্ষার অভিযোগ উঠতে পারে অ্যান্টনিও গুটেরাসের বিরুদ্ধে।

গত ফেব্রুয়ারিতে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদনটি মুলতবি করার প্রস্তাব দিয়ে একটি আপোষ প্রস্তাব উত্থাপন করতে চেয়েছিলেন গুটেরাস। কিন্তু জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক একটি সংস্থার সমালোচনার আশঙ্কায় শেষ পর্যন্ত গুটেরাস তা করা থেকে বিরত থাকেন।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছে, এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনো জাতিসংঘের কার্যালয়ে আলোচনা চলছে। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি এবং কোন দেশ কালো তালিকাভুক্ত হবে সেবিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

সূত্র : ইয়েমেন প্রেস।