জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে সরব বিএনপি

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারসহ বিভিন্ন দাবিতে ঘরোয়াভাবে নানা কর্মসূচি পালন করলেও অনেকদিন থেকে রাজপথে নেই বিএনপির নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চাইলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় সেই কর্মসূচি ভেস্তে যায়। রাজপথে নামতে না পারায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকটা ঢিমেতাল ভাব ছিল। আজ দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে কিছুটা চাঙ্গা হয়ে ওঠার সুযোগ পায় রাজপথে অনেকদিন ‘নিষ্ক্রিয়’ থাকা দলটির নেতাকর্মীরা। আজকের কর্মসূচিকে ঘিরে তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নেতাদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা আসার আগেই জিয়ার সমাধিতে ঢল নামে বিএনপি ও এর অঙ্গসংঠনের নেতাকর্মীদের।

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাধি প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। সংগঠনগুলোর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সমাধিস্থলের পাদদেশ।

ফুলের শ্রদ্ধা জানানোর পর খালেদা জিয়া দুঃস্থদের মাঝে বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিরতণ করেন। মূলত এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে রাজপথে সরব হয়ে ওঠার সুযোগ পায় দলটির হাজারো নেতাকর্মী।

মৃত্যুবার্ষিকীতে যোগ দিতে আসা খালেদার গাড়িবহরের সম্মুখভাগে বিশাল মোটরসাইকেলের বহর দেখা গেছে। এই শোডাউনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিত ছিল সবচেয়ে বেশি।

খালেদা জিয়ার বহরের সঙ্গে বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কাজী আবুল বাশার, শামা ওবায়েদ, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের রাজিব আহসান, আকরামুল হকসহ সব অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী অংশ নেয়।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৫ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার ধানমন্ডির সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে আজকের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া। এরপর কলাবাগান মাঠের পাশে বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। পরে আজিমপুরের ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল, বটতলার স্পটে যান খালেদা জিয়া।