জিয়ার প্রশংসা করায় সিইসির পদত্যাগ দাবি কাদের সিদ্দিকীর

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলা- বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করে সংলাপ প্রত্যাহার করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।আগারগাঁওযের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, সবার সাথে সম-আচরণ করা উচিত। এটা আমাদের দেশে হয় না। আমাদের দেশে তেলা মাথায় তেল দেওয়ার রেওয়াজ ভীষনভাবে দেখা যায়। নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৪০টি দলকে সংলাপে আহ্বান করেছে, তাদের সঙ্গে নির্বাচন সম্পর্কে মতবিনিময় করার জন্য। এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে আমাদের বক্তব্য অব্যাহত রাখতে পারিনি। আমরা আলোচনা বয়কট করে চলে এসেছি। আমরা আলোচনা বয়কট করেছি এই জন্য যে, গতকাল সিইসি টোটাল কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নয়, তিনি এককভাবে বলেছেন যে, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। যদি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে থাকে তাহলে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে কেউ না কেউ হত্যা করেছে। সেই হত্যা করা, বাতিল করা, স্থগিত করা বা নির্বাসনে দেয়া গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে জিয়াউর রহমান। তার (সিইসি) এই বক্তব্যের সাথে আমরা একমত না। সিইসি একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। তিনি এ কথা বলতে পারেন না যে, জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন আর শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। তাই আমি মনে করি, সিইসির এই মূহুর্তে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি একটা অত্যন্ত কঠিন বেহিসাবি কথা বলেছেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে যে লড়াই চলছে, সেটি গণতন্ত্রের লড়াই। সে লড়াই মানুষের অধিকারের লড়াই। সেই জন্য আমাদেরকে ডাকা। এই আলোচনায় আমরা অংশগ্রহণ করলেও সেটাকে আমরা স্বীকার করতে পারছি না।

তিনি জানান, যখন বিএনপি এখানে আলোচনা করতে এসেছিল। সেখানে বেশ সৌহার্দপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সেই জন্য আমরা যথেষ্ট আশাবাদী হয়েছিলাম। আমাদের আলোচনা ভালো হয়েছে। কিন্তু এখন আমাদেরকে বয়কট করতে হয়েছে। পদত্যাগ চাইতে হয়েছে।
৩৪তম দল হিসেবে সংলাপে অংশ নিয়ে কাদের সিদ্দিকীর সমালোচনার মুখে পড়লো কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বুধবার ইসির সংলাপ রয়েছে।

বয়কটের আগে নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, ইভিএম চালুসহ ১৮ দফা প্রস্তাব দেয় দলটি। বৈঠক কাদের সিদিক্কীর নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।