জুড়ীতে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিল স্বামী!

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শুকনাছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এই গৃহবধূ মঙ্গলবার বিকেলে স্বামীর বিরুদ্ধে জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অভিযুক্ত বদই মিয়াকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শুকনাছড়া গ্রামের বাসিন্দা বদই মিয়ার (৪৫) সঙ্গে ২০১০ সালে পাশের কুলাউড়া উপজেলার দানাপুর গ্রামের রাবিয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা অযুহাতে বদই মিয়া স্ত্রীর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হলেও সন্তানের দিকে চেয়ে স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করেননি রাবিয়া।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বামী নির্যাতনের শিকার হয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন রাবিয়া। পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় স্ত্রীকে ঘরে ফিরিয়ে নেন বদই মিয়া। কিন্তু বাড়ি ছেড়ে যাওয়ায় বদই ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার রাতে স্ত্রীকে বসতঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখেন। একপর্যায়ে ব্লেড দিয়ে তার চুল কেটে মাথা ন্যাড়া করে দেন। এছাড়া শরীরের স্পর্শকতার স্থানে লাগিয়ে দেন মরিচের গুঁড়া। এসময় চিৎকার করলে বদই তাকে ও তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

বাড়িতে বদইয়ের মা ও ছোট ভাই থাকলেও তারা এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করেননি। পরদিন সকালে বদই রাবিয়ার বাঁধন খুলে দেন। গত সোমবার বদই মিয়া বাড়ির বাইরে কাজে যান। এ সুযোগে রাবিয়া বাড়ি থেকে পালিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে তাকে বিষয়টি জানান।

চেয়ারম্যান তাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পরামর্শ দেন। রাবিয়া বর্তমানে বাবার বাড়ি কুলাউড়ায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, গৃহবধূ থানায় এসে স্বামীকে (বদই মিয়া) অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যৌতুক ও নির্যাতন আইনে মামলা হচ্ছে। বদইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।