টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে ‘ভিডিও’র ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরো ছয়-সাতবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সখীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে ওই মেয়ে ও তার বাবা সখীপুর থানায় হাজির হয়ে সখীপুরের একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে লিটন আহাম্মেদকে (৪৩) আসামি করে এ মামলাটি করেন। মেয়েটি বর্তমানে প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা (১৯ সপ্তাহ) হয়ে পড়েছেন। লিটন আহম্মেদের বাড়ি উপজেলার বড়চওনা গ্রামে। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ও কালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান।

মেয়েটির ভাষ্য ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারির আনুমানিক ২৮ তারিখ বিকেল বেলায় মেয়েটি পাশের বাড়ি (১০ গজের মধ্যে) লিটনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লিটন কৌশলে তাঁর ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটির পরনের সব কাপড় খুলে মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও করে। এ ঘটনাটি প্রকাশ করা হলে ভিডিওটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ও বাবা-মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লিটন।

মেয়েটি জানায়, এভাবে লিটন ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক মাসে আরও ছয়-সাতবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। মেয়েটির পরিবার গত ২৩ আগস্ট স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মেয়েটির আল্ট্রাসনোগ্রাফ করায়। ওই প্রতিবেদনে মেয়েটি ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়।

মেয়েটির বাবা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি এলাকায় প্রকাশ হলে লিটন আমাদের পরিবারকে মামলা না করার হুমকি-ধমকি দেয়। মেয়ের নামে জমি লিখে দিতে চায়।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, আসামি লিটন আহম্মেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শনিবার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে ও বিচারিক হাকিমের কাছে গিয়ে জবানবন্দী রেকর্ড করানোর কথা রয়েছে।