টিআইবির গবেষণা: পাসপোর্ট করতে বেশি দুর্নীতি পুলিশি ছাড়পত্রে

পাসপোর্ট করতে গিয়ে সেবাগ্রহীতারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হন পুলিশি ছাড়পত্রের (ভেরিফিকেশন) ক্ষেত্রে। পুলিশি তদন্তে সেবাগ্রহীতাদের ৭৬ দশমিক ২ শতাংশ অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন এবং ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ সেবাগ্রহীতাকে পুলিশকে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে হয়েছে।

‘পাসপোর্ট সেবায় সুশাসন: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এই গবেষণা কার্যক্রম চালায়। প্রতিটি বিভাগে জেলা পর্যায়ে মোট ১ হাজার ৪৫৩ জন জরিপে অংশ নেন।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই জরিপে অংশ নেওয়া সেবাগ্রহীতাদের ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। আর পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ বা নিময়বহির্ভূত অর্থ দেওয়ার পরিমাণ ২ হাজার ২২১ টাকা।

জরিপে দেখা গেছে, পাসপোর্ট অফিস থেকে দেওয়া স্লিপে উল্লেখ করা নির্ধারিত সময়ে অনেকেই পাসপোর্ট পাচ্ছেন না। ২৭ শতাংশ বলেছে, তাদের ১২ দিন বেশি সময় লেগেছ। আর সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ পাসপোর্ট করার সময় দালাল বা অন্যান্যের সাহায্য নিয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ দালালের সহযোগিতা নিয়েছ। এই সহযোগিতা নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি সিলেটে। এই সংখ্যা ৬০ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম রাজশাহীতে; ২০ শতাংশ।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৫ সালের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশি ছাড়পত্র এবং সত্যায়ন ও প্রত্যয়ন বিধান বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে টিআইবির মিলনায়তনে গবেষক শাহনূর রহমান গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, সাবেক চেয়ারপারসন এম হাফিজ উদ্দিন খান প্রমুখ।