টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন আজ শনিবার। এ উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সকাল ১০টা ৮ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রথমে রাষ্ট্রপতি, পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁরা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। দুজন সুরা ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধুসহ অন্য শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে পুনরায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় মন্ত্রী, সাংসদ, ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর রাষ্ট্রপতি সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

আজকের দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

বাসসের খবরে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের নামে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ ও ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ নামে শিশুদের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ‘আমার ভাবনায় সাতই মার্চ’ শীর্ষক শিশুদের চিত্রপ্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন।

শেখ হাসিনা শিশু সমাবেশে, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং দুস্থ ব্যক্তিদের মাঝে সেলাইয় মেশিন বিতরণ করবেন। বিকেলে তাঁর ঢাকা ফেরার কথা।

মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালে ‘খোকা’ নামে পরিচিত সেই শিশুটি পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।