ঢাকায় এত গরম কেন?

আজ বুধবার বেলা ১১টা। রাজধানীর মিরপুর এলাকায় হয়ে গেল এক পশলা বৃষ্টি। মিনিট দশেকের বৃষ্টিতে সেখানকার পথঘাট-পথচারী ভিজে একাকার। কয়েক কিলোমিটার এগিয়ে আগারগাঁও এলাকায় দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্যপট। পিচঢালা পথ ধুলোয় একাকার। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি। আরেকটু এগিয়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফার্মগেটে দেখা গেল প্রচণ্ড রোদ। মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে মিরপুর এলাকার বৃষ্টির প্রভাব ওই এলাকায় একেবারেই তখন ছিল না।

এভাবে রোদ-বৃষ্টি লুকোচুরির খেলা চলছে রাজধানী ঢাকায়। একই অবস্থা রয়েছে দেশজুড়ে। দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হলেও উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থা পুরোপুরি আলাদা। দক্ষিণের জেলা খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু তাপপ্রবাহ। আর এর কারণেই এত গরম।

আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃষ্টি কম-বেশি মৌসুমি বায়ুর কারণে হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু সিলেট, চট্টগ্রাম অঞ্চল পেরিয়ে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিস্তার না ঘটায় সেখানে গরম পড়ছে। এ ছাড়া জুন মাসে দিনের ব্যাপ্তি দীর্ঘ হয়। সূর্যেও তেজ থাকে প্রচণ্ড। এ সময় টানা বৃষ্টির পর আবার গরম বেড়ে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর বিস্তার হবে সারা দেশে। এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে, যার পরিমাণ প্রায় ৪৬০ মিলিমিটার। এর সঙ্গে মৌসুমি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ৯ থেকে ১০ জুনের মধ্যে সারা দেশে মৌসুমি বায়ুর বিস্তার ঘটতে পারে। তখন বৃষ্টিও হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।