ঢাকা এখন ফাঁকা

হঠাৎ করেই যেন বদলে গেছে চিরচেনা ঢাকা। বরাবরের মত বদলে গেছে দৃশ্যপটও। রাস্তায় যানবাহনের আনাগোনা কম। ব্যস্ততা নিয়ে ছুটে চলা জনস্রোত নেই।

সবখানেই অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব। যেখানে রাজধানীর জীবন মানেই ১৫ মিনিটের পথ যেতে এক ঘণ্টার হিসাব, ফুটপাত-বাসে মানুষের গাদাগাদি-চাপাচাপি, পথে পথে জটলা ও পরিবহন সংকট। কিন্তু সেখানের দৃশ্যপট এখন ভিন্ন।

ঈদের তিন দিনের ছুটি শুরুর আগেই সরকারি ছুটি পড়ায় গত ২২ জুন থেকে রাজধানী ছাড়তে শুরু করে নগরবাসী। ফলে আজ রোববার (২৫ জুন) ঢাকার ফাঁকা হয়ে যাওয়াটা ছিল লক্ষণীয়।

তবে এদিন বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকের অফিস ছিল। তেমনি একজন বেসরকারি চাকরিজীবী নুরুল ইসলাম। প্রতিদিন অফিস করেন রাজধানীর মিরপুর থেকে মহাখালী। তিনি বলেন, ‘দৈনন্দিন চেনা রূপের বাইরে দুই ঈদে অন্য ঢাকা দেখতে পাওয়া যায়, এটা অন্যরকম আনন্দের। সবসময় এমন থাকলেই ভালো হত।’

মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বাস চালক নাদিম বলেন, ‘রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা। আগে মিরপুর ১০ নাম্বার থেকে উত্তরা যেতে সময় লাগতো কমপক্ষে ১ ঘণ্টা আজকে সেখানে লেগেছে ২০ মিনিট। তবে যাত্রী পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’

অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ফাঁকা ঢাকার বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন। স্বস্তি প্রকাশ করছেন।

এদিকে মিরপুর রোডে আড়ং সিগন্যাল থেকে শুরু করে সায়েন্স ল্যাব মোড় পর্যন্ত যানজট দেখা যায়নি। তবে এলিফ্যান্ট রোডের জুতার দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বাটা সিগন্যাল পার হওয়ার পরই শাহবাগ হয়ে মৎস ভবনের দিকে স্বল্প সময়ে চলে যাওয়া যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।

গাউছিয়া ও নিউমার্কেটের ফুটপাত ঘিরে রয়েছে মেয়েদের পোশাক ও স্যান্ডেলের বিশাল বাজার। ঢাকার সব বয়সী মেয়েদের কাছে এই স্যান্ডেলের বাজার খুবই জনপ্রিয়। যেকোনো বয়সের যে কোনো ধরনের স্যান্ডেল পাবেন এখানে। আর তাই শেষ মুহূর্তে এখানেও ভিড় লক্ষ করা গেছে।

গুলিস্তান গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতে উপচেপড়া ভিড়। গুলিস্তানের ফুটপাতের দোকানগুলোতে ছেলেদের শার্ট, গেঞ্জি ও টি-শার্টের দোকান সবচেয়ে বেশি। সে তুলনায় মেয়েদের পোশাক কম। এ ছাড়া জুতার বাজারের কালেকশনও বেশ ভালো। রয়েছে চামড়ার বেল্টের বড় বাজার।

এদিকে আজ রাজধানীর গাবতলী, টেকনিক্যাল, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ ও কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। নাড়ির টানে সবাই নিজ নিজ গ্রামে যাচ্ছে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করতে।