ঢাবিতে সালাম না দেয়ায় হলছাড়া করল ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে সালাম না দেয়ার অভিযোগে দুই ছাত্রকে মারধর করে হলছাড়া করল ছাত্রলীগ।

বুধবার হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের অনুসারীরা এ কাণ্ড ঘটান।

এদিকে বুধবার দুপুরে ছাত্রদল ও হিযবুত তাহরীর সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তারা ওই দুই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। মঙ্গলবার বিজয় একাত্তর থেকে ১১ শিক্ষার্থীকে পুলিশে দেয় হল প্রশাসন।

সূত্র বলছে, লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শামিমুর রহমান ও বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আতিকুর রহমানকে ১৭৭ নং কক্ষে ডেকে নেন শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিক খান।

সালাম না দেয়ার অভিযোগে সেখানে শামিম ও আতিককে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং লাঠি দিয়ে পেটান পরিসংখ্যান বিভাগের তানভীর ও সৌরভ, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের তাহের, ফারসি বিভাগের সফিউল্লাহ, সংস্কৃত বিভাগের সোহরাব।

এর প্রতিবাদ করেন তাহসান (হল ছাত্রলীগ সভাপতি) গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাহসান আহমেদ ওই শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেন।

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল যুগান্তরকে বলেন, ‘তারা বড় ভাইদের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। তাই বের করে দিয়েছি। দুইদিন পর আবার উঠিয়ে দেব।’

এদিকে বুধবার দুপুরে ছাত্রদলের কর্মী সন্দেহে মো. কাওছার নামের বিজয় একাত্তর হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী এবং হিযবুত তাহরীর সন্দেহে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের কাজী মাহমুদুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের নামে কোনো মামলা হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী বলেন, হলের শিক্ষার্থীরা কাওছারকে ছাত্রদলের কর্মী সন্দেহে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি তার ফেসবুক আইডি চেক করে দেখি তার সঙ্গে মাহমুদুলের সম্পর্ক আছে। কাওছারের সঙ্গে মাহমুদুল ‘চ্যাট’ করত। তাকে ছাত্রদল করার জন্য অফার করে। কাওছারের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। যদি ছাত্রদল ছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো প্রমাণ না থাকে তবে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।