তওবা করা সেই মেয়েটি

আকিদুল ইসলাম সাদী |


(এক) পৌষ মাস, কনকনে শীত। তার উপর আবার গতরাতে একপশলা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে শীতের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো পৃথিবী কুয়াশার চাদরে ঢাকা। শিশির এমনভাবে ঝরছে, মনে হচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। কোথাও কোন মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না। শীত যেন পুরো ধরাকে শব্দহীন এক রহস্যময় রাজ্যে পরিণত করে ফেলেছে। আর সেই রাজ্য দিয়ে হেঁটে চলেছে তানিয়া। দোহারা গড়ন, সুঠামদেহ ও টকটকে ফর্সা চেহারা তার। অতি সহজেই তার চেহারা যেকোনো পুরুষের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। আবদ্ধ করে ভালোবাসার বন্ধনে।

তানিয়া অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। লেখাপড়ায় সে অতুলনীয়। তার মেধাশক্তি ও লেখাপড়া সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তাক লাগিয়ে দেয়। সারাবছরই সে নাচ-গান ও বিভিন্ন খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কখনও মনে হয় বই ধরারও সময় পায় না। অথচ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় তানিয়া ক্লাসের সবার শীর্ষে। আশ্চর্যনীয় তার লেখাপড়ার ধাচ! তাই সকল শিক্ষকরা তানিয়াকে নিয়ে গর্ববোধ করেন এবং সকলকে লেখাপড়ার বিষয়ে তার মতো হওয়ার জন্য উৎসাহ দেন। লেখাপড়া ও রূপে-গুনে উভয় দিক থেকে সে খুবই প্রশংসনীয়। সেজন্য ক্লাসের সকলেই প্রায় তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই। অনেক সময় লম্বা সিরিয়ালও পড়ে যায় তার বন্ধুত্বের প্রত্যাশীত ছাত্র-ছাত্রীদের। তাদের থেকে অনেকের সাথে তার বন্ধুত্বও হয়ে গেছে।

তানিয়া তার সকল বন্ধুর সাথে সবসময় মিল রেখে চলে। কখনও সে এমন কাজ করে না যে, নিজের ক্রেটিড নষ্ট হবে। রাজন নামে তার একজন বন্ধু ছিলো, ইদানীং তার সাথেই গড়ে উঠেছে প্রেমের সম্পর্ক। তার চেহারা-সুরত ও বডি-ফিটনেস খুবই চমৎকার! যেকোনো নারীরই নজর কেড়ে নেওয়ার মতো। ফলে তানিয়া তার সম্পর্কে বেশি কিছু না জেনেই প্রেমের সম্পর্ক শুরু করেছিলো। সেই থেকে শুরু হলো তার প্রেমাবন্ধন জীবন। এখন শুধু রাজনকে তার দেখতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে তার সাথে সময় কাটাতে, হাসি-তামাসা-গল্প করতে। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে-বসে আড্ডা দিতে। তানিয়া আজও সেই টানে কুয়াশাযুক্ত শীতের সকালে রাজনদের বাসার উদ্দেশে বের হয়েছে…………….(চলবে)