তারাগঞ্জে চোখের জ্বলে কৃষকদের ধান কাটামাড়ি শুরু

এনামুল হক দুখু, তারাগঞ্জ (রংপুর) : রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় এবারের ইরি ধান চাষী কৃষকদের চোখের কান্না যেন থামছেই না। নেক ব্লাষ্ট রোগ আক্রমণে তারাগঞ্জে এবার ইরি মৌসুমের ধান চাষীদের অসহায় আর্তনাদ। এ রোগে ধানের ফলন অর্ধেকেরও কম হওয়ায় পূরাই দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা। এক দিকে নেক ব্লাষ্ট রোগে আক্রমণ হয়ে ধানের ফলন কম হওয়া অপর দিকে আকাশের বিরুপ আবহাওয়ায় যেন উভয় সংকটে পড়েছেন ধান চাষী কৃষকেরা। উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামের ধান চাষী দুলু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন- “হামাক এবার মনে হয় না খেয়া থাকি বার নাগবে। মুই মানুষেরটে টাকা ধার নিয়া ধান নাগাছিনু কিন্তু কোন ঠাকার বা কোন রোগ আসিল মোর ৩০ শতক জমিত পাঁচমন ধানও হবার নায়। মুই মানুষক দেওং কি আর নিজে খাওং কি কনতো”। ছত্রাক জনিত নেক ব্লাষ্ট রোগ কৃষকদের কপাল পুড়েছে। ধানের শিস বের হয়ে তা সাদা হয়ে যায় শিসে আর ধান থাকে না। সরেজমিনে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ঘুরে একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়। ২৮ জাতের ধানের ক্ষেতে এ রোগটি বেশি ও অন্যান্য জাতের ধানে এ রোগ অনেকটাই কম। যেসব ধানক্ষেত কাটার এখনও বাকি আছে সেগুলোর অর্ধেকেরও বেশি ধান শিস সাদা হয়ে গেছে। আর যেসব কৃষকরা ধান কাটছে তাদের চোখে জল।