তিন দিনে ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়ি যমুনার নদীগর্ভে

বর্ষার শুরুতেই টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে গত তিন দিনে প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের হাজারো মানুষ।
এদিকে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে গত বছর চার কোটি টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও নানা অনিময় ও দুর্নীতির কারণে তাও বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। ফলে জিও ব্যাগ কোন কাজেই আসেনি।

সরজমিনে জানা যায়, গত তিন দিনে নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ফলে পানির চাপে ভাঙন আরও তীব্রতর হয়েছে। গাবসারা ইউনিয়নে ২০০ ও অর্জুনা ইউনিয়নে ১০০টি পরিবার তাদের ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারিয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু সাময়িক উদ্যোগ নেয়। এবারও নদীর পাড়ে মাটি মিশ্রিত বালু ফেলে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত কিছু অংশ নামমাত্র মেরামত করা হয়েছে।

যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনাসহ জামালপুরের পিংনা থেকে টাঙ্গাইলের জোকারচর পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বলেন, ভূঞাপুরে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যমুনার এ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ঢাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৗশলী (সেন্ট্রাল জোন) মো. ফখরুল ইসলাম। পরিদর্শন শেষে তীব্র ভাঙনে জিও ব্যাগ কার্যকর নয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।

তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণসহ আগামী বছরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন তিনি।