তিস্তায় পানি কমলেও দুর্ভোগ কমছে না বানভাসীদের

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি সার্বিক উন্নতি হয়েছে। ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল কিছুটা কমে গেছে। গত কয়েকদিন থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হলেও বুধবার ভোর থেকে তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পনি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এ ছাড়া জেলার ছোট-বড় সবকয়টি নদ-নদীর পানিও অব্যাহতভাবে কমছে। ফলে বেশ কয়েকটি বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে এখনো নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। পানিবন্দী এসব মানুষের রাত কাটছে নির্ঘুম। বিশুদ্ধ পানি, খাবার সঙ্কটে দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। কারো কারো মাঝে দেখা দিয়েছে নানা পানিবাহিত রোগব্যাধি। বন্যা দুর্গত এলাকার ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। তবে বন্যার্তরা জানিয়েছেন, তা প্রয়াজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিস্তার পানি বুধবার ভোর থেকে কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফয়েজ মো. আলা উদ্দিন খাঁন জানান, সদর উপজেলায় ৫ হাজার, আদিতমারী উপজেলায় ৩ হাজার হাতীবান্ধা উপজেলায় ৯ হাজার ২৫৮টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৬ লাখ টাকা ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।