তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সৌদি জোট

কাতারের প্রতি খাদ্য ও সামরিক সহায়তা দেয়ায় তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। কাতার সংকটে দেশটির পাশে দাঁড়ানোর কারণে তুরস্কের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউ আরব জানিয়েছে।

মিশরের এক কূটনৈতিক নাম প্রকাশ না করা সূত্রে জানান, “শীঘ্রই দেখতে পাব যে, তুরস্কের প্রতি কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব।”

সূত্রটি আরো জানায়, “সৌদি কর্তৃপক্ষ কাতার সংকটে আংকারার ভূমিকাকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মানতে চাইলেও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন। এ সপ্তাহে কায়রো সফরকালে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।”
তুরস্ককে পাশে পেয়ে কাতার সংকট মোকাবেলায় সচেষ্ট হয়েছে বলেও সূত্রটি মনে করে।

৫ জুন সৌদি সহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান কয়েকটি আরব রাষ্ট্র কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতার অভিযোগ এনে সকল ধরণের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। যদিও কাতার তাদের এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে শুরু থেকেই।

কিন্তু তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েফ এরদোগান কাতারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। যার ফলে দোহাতে সামরিক ও খাদ্য সহায়তা পাঠায় দেশটি। ইতিমধ্যে দুই ডজন তুর্কি সৈন্য দল কাতারে পৌঁছেছে। খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা বোঝায় ১০০টি বিমান পাঠিয়েছে তুরস্ক। এই বৃহস্পতিবারেই বিভিন্ন সহায়তা নিয়ে একটি জাহাজ ভিড়েছে দোহার বন্দরে।

শুক্রবারে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সংকট নিরসনে দাবির একটি তালিকা কাতারকে দিয়েছে যেখানে দেশটি থেকে তুর্কি সামরিক ঘাঁটি অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়ার শর্তও দেয়া হয়েছে।