দার্জিলিং ছাড়তে ১২ ঘণ্টা সময় বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের স্কুলগুলো চলেই বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে। সেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও অনেক বেশি। আলাদা গোর্খা রাজ্য করতে দার্জিলিংয়ে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। শান্ত পাহাড়ে এখন অশান্তির আগুন চারিদিকে। পর্যটকদের কোনো দায় না নিলেও ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপারে কিছুটা নরম হয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শুক্রবার ১২ ঘণ্টা সময় দিয়েছে দার্জিলিং ছাড়তে।

গোর্খাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী স্কুলবাসে করে শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল থেকে পাহাড় ছাড়ছে। বিভিন্ন স্কুলের বাসে করে তাদের পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সমতলের শিলিগুড়ি শহরে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ছেড়ে যেতে বলেছে গোর্খারা।

রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যালয় ঔচ্ছিকভাবে বাংলা ভাষা পড়ানোর নির্দেশ দেয়ার প্রতিবাদ ও আলাদা গোর্খা রাজ্য করার দাবিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গত ১২ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের হরতাল পালন করে চলেছে। ২০১১ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুলাই মাসে দার্জিলিং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দার্জিলিং চুক্তি করেছিলেন। এই চুক্তিবলে গড়েছিলেন এই জিটিএ। পরে জিটিএর নির্বাচনে জয়ী হয়ে এই স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার চেয়ারম্যান হন বিমল গুরুং। এবার সেই জিটিএ থেকে বিমল গুরুং তাঁর দলবল নিয়ে সরে যাচ্ছেন।

সেনা দিবে না বিজেপি সরকার

টানা জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গের পাশে দাঁড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে। কিন্তু পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে মমতা ফের আরো সৈন্য চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরও ৪ কোম্পানি অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। বর্তমানে এখানে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা এক প্রতিবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে আরো বাহিনী নিয়োগ করলে দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। এই রিপোর্টের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।