দায়িত্বে ফিরতে বাধা নেই ঢাবি শিক্ষক রিয়াজুলের

ক্লাসে অশ্লীল চিত্র প্রদর্শনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হককে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

ঢাবি কর্তৃপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

ফলে তার কাজে ফিরতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

তবে শিক্ষক রিয়াজুলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন।

একই সঙ্গে কারণ উল্লেখ ব্যতীত তাকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাবি উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায়।

হাইকোর্টে রিয়াজুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অশ্লীল চিত্র দেখানোর অভিযোগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে অধ্যাপক রিয়াজুল হককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ক্লাসে তিনি যেসব চিত্র দেখিয়েছেন তা পর্নোগ্রাফির পর্যায়ে পড়ে।

এরপর ৭ মার্চ ঢাবির রেজিস্ট্রার এক চিঠিতে শিক্ষক রিয়াজুলকে ওই বরখাস্তের সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু চিঠিতে বরখাস্তের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। সেই বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৬ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

সেই রিটের শুনানি নিয়ে বরখাস্তের আদেশ স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।