দিনাজপুর, সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ১০ জন নিহত

দিনাজপুর ও সুনামগঞ্জ জেলায় শনিবার পৃথক বজ্রাঘাতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুরের পাঁচ উপজেলায় আটজন এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুজন নিহত হয়েছে।

বজ্রাঘাতে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রাজারামপুর গ্রামে। বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বৃষ্টির সময় রাজারামপুর গ্রামের ফসলি জমিতে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় বজ্রাঘাতে চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় পাঁচজন। নিহতদের নাম জানা যায়নি।

আহতদের বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুপুরে একই সময় সদর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে নিহত হন একজন। কোতোয়ালি থানার ওসি রেদোয়ানুল রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নিহতের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।

দুপুরে চিরিরবন্দর উপজেলায় বজ্রাঘাতে একজন নিহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করলেও থানা থেকে খবরটি নিশ্চিত করতে পারেনি।

এদিকে বজ্রাঘাতে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামে গীতা রানী (৩৫) ও খানসামা উপজেলার দুয়ানি গ্রামে দীনবন্ধু রায় (৪৮) নামে দুজন নিহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোচাগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ।

জগন্নাথপুর থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে উপজেলায় বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় কলকলিয়া ইউনিয়নের ঘীপুরা গ্রামের তাজুদ মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (১৬) স্কুলে যাওয়ার পথে বাড়ির পাশেই বজ্রাঘাতে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সে স্থানীয় আটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

অপর ঘটনাটি ঘটে একই ইউনিয়নের কামালখাল গ্রামে। ওই গ্রামের কৃষক আবদুল আহাদ (৪৫) সকালে গ্রামের পাশের হাওরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানে বজ্রাঘাতে মারা যান তিনি।