দেশে চালের ঘাটতি নেই : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে এক কোটি ছয় লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল মজুদ রয়েছে। ‘প্রকৃত অর্থে’ চালের কোনো ঘাটতি নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন, তবে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিভিন্ন সময়ে সরকারের সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে চাল বিতরণ ইত্যাদি কারণে চালের কাঙ্ক্ষিত মজুদ করা সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাতের অনুকূলে বরাদ্দ দাবির সময় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রপতির অনুকূলে উন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহকল্পে ১৪ হাজার ৪০০ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, আগামী দিনের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার চাল আমদানি করছে। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে ২.৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল পাইপলাইনে রয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি মূল্য ও বাজার মূল্যের তারতম্যের কারণে চালের বাজার অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। আমি আগে থেকেই এনবিআরের কাছে আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছি। শেষ পর্যন্ত সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এখন আশা করছি চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আশা করছি ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহ করতে পারবো। আমাদের চালের মজুদ কম থাকায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকায় চাল দেয়ার কর্মসূচিতে চালের পরিবর্তে গম দেয়া হয়েছিল। আশা করছি চালের আমদানি শুল্ক হ্রাসের পর পর্যাপ্ত চাল আসবে এবং সরকারের সামাজিক কর্মসূচিতে আবারও চাল বিতরণ করতে পারবো।