দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে, তাই বলে হত্যা!

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ঘর থেকে হারিয়ে যাওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর পাঁচ দিন বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় কন্যা সন্তান অপছন্দকারী বাবা সাবু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসীরা।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ধাপপাড়ার একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটলাল গ্রামের দিনমজুর সাবু মিয়া ও আকলিমা খাতুন দম্পতির তিন বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা আছে। পাঁচ দিন আগে আকলিমা আবারো কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ঘর থেকে রহস্যজনকভাবে শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পার্শ্ববর্তী ধাপপাড়ার একটি পুকুরে শিশুর লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, দিনমজুর সাবু মিয়া কন্যা সন্তান পছন্দ করেন না। প্রথম মেয়ে হওয়ার পর স্ত্রীকে গালিগালাজ করেছিলেন। আবার কন্যা সন্তান হওয়ায় স্ত্রী আকলিমাকে গালিগালাজ করেন তিনি। তাদের সন্দেহ- এ অপছন্দ থেকেই সাবু মিয়া তার পাঁচ দিনের শিশুকন্যাকে নিজেই পুকুরে ফেলে হত্যা করেছেন।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, শিশুটি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ও পুকুরে লাশ পাওয়া গেছে। গ্রামবাসী সন্দেহ করায় বাবা সাবু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

শনিবার সকালে শিশুর লাশ মর্গে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।