দ্রুতই বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে খেতে হবে যেসব খাবার

শরীরে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে খাদ্যাভ্যাসে মনোযোগী হন। কী খাচ্ছেন, কেন খাচ্ছেন তা জেনে-বুঝে খান।

তারুণ্য ধরে রাখা বা দ্রুতই বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে সহায়ক খাবারের তালিকা দেওয়া হলো-
আঙ্গুর: আঙ্গুরে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। এতে আরও আছে রেজভেরাট্রোল। বিশেষত লাল আঙ্গুরে এই উপাদানটি বেশি থাকে। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

ডার্ক চকোলেট: চকোলেটা থাকা কোকোয়া বলিরেখা ও ডার্ক সার্কেল থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

আখরোট: চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী আখরোটে আছে কপার। যা চুলকে আরো স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী করে। এতে আরো আছে ভিটামিন-ই।

আনারস: ব্রোমালেইন এর মতো এনজাইমে সমৃদ্ধ আনারস ত্বকের যত্নে বেশ উপকারী। এটি ব্রণ দূর করে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

টমোটো: টমেটোতে থাকা ক্যারোটিনয়েড ত্বককে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের তামাটে ভাব দূর করে।

অ্যাভোকাডো: ত্বককে কোমল ও নমনীয় করে অ্যাভোকাডো। এতে থাকা ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।

ওট বা জই: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিকেলস এর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়া ত্বকে বলিরেখা পড়াও ঠেকায় ওট।

তরমুজ: প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তরমুজে। যা ত্বকে বলিরেখা পড়া ঠেকায়।

গাজর: গাজরে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট দেহে ফ্রি র‌্যাডিকেলস এর মাধ্যমে ক্ষয় হওয়া প্রতিরোধ করে।

ব্লুবেরি: ভিটামিন সি এবং ই-তে ঠাসা ব্লুবেরিতে। বেরির মধ্যে এটিই বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

লাল বাধাকপি: নিয়মিত লাল বাধাকপি খেলে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

মৌরি: আঁশসমৃদ্ধ এই খাদ্যটি দেহেকে বিষমুক্ত করতে এবং হজমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

গ্রিন টি: শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড আছে গ্রিন ট্রিতে। এটি হাঁটুর জন্য খুবই উপকারী। এবং তরুণাস্থির যে কোনো ক্ষয়রোধ করে। এছাড়া এর রয়েছে বিস্তর বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধী উপকারিতা।

লেবু এবং গরম পানি: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানি এবং লেবুর রস খেলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এবং ত্বকের ঔজ্বল্য বাড়ে।

কিডনি বীন বা শীম: পটাশিয়াম এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ এই শীম হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

অলিভ অয়েল: এতে থাকা পলিফেনলস এবং ভিটামিন ই দুটোই বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

নারকেলের পানি: একে বলা হয় বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধের সেরা পানীয়। এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদান ত্বককে সজীব রাখে।

স্ট্রবেরি: ভিটামিন সি-তে ঠাসা এটি। যা দেহে কোলোজেনের উৎপাদন বাড়ায়। আর এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আপনার দেহ মনকে চনমনে করে তারুণ্যে অনুভূতি এনে দিবে।

আপেল: ভিটামিন সি-র সমৃদ্ধ উৎস। যা ত্বকের কোষগুলোর জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাবে এবং তারুণ্য বোধ করবেন।

শ্বেতবীজ বা শণবীজ: এতে থাকা লিগনাস কোলোস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে রাখতে বেশ সহায়ক।

দারুচিনি: কোলোজেনের উৎপাদন বাড়ায় যা আবার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।

আদা: জিনজারোল সমৃদ্ধ আদার প্রদাহরোধী কার্যকারিতা বিশাল।

ব্রোকোলি: এটি ডায়াবেটিস ও স্থুলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। কারণ এটি দেহে মাইটোকন্ড্রিয়াল ম্যালফাঙ্কশন প্রতিরোধ করে।

মাছ: ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।