দ.আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের ইনিংস পরাজয়

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইনিংস পরাজয়বরণ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রান করে অলআউট হয় সফরকারীরা।

ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় এবার ইনিংস পরাজয়ের মুখ দেখলো মুশফিকবাহিনী।

শুক্রবার শুরু হওয়া ব্লুমফন্টেইনের এ ম্যাচে টস জিতে আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা হেসেখেলে রান করেন। স্কোরবোর্ডে ৫৭৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।

বিশাল সংগ্রহের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের ৪২.৫ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয় মুশফিকবাহিনী। যথারীতি ফলোঅনের লজ্জায় পড়ে টাইগাররা।

শনিবার দ্বিতীয় দিনেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে টাইগাররা।

আগের দিনের বিনা উইকেটে ৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে ফেরার পথ দেখান সৌম্য সরকার।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ তিনি। মাত্র ৩ রান করে রাবাদার বলে আউট হন সৌম্য। এরপর দ্রুতই ফিরে যান মুমিনুল হকও। মাত্র ১১ রান করে রাবাদার বলে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল।

ভালোই খেলছিলেন ইমরুল কায়েস। তবে অযথা লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ইমরুল ৩২ রান করে অলিভারের বলে আউট হন।

ইমরুলের পর মুশফিকুর রহিম ব্যক্তিগত ২৬ রান করে ওয়েন পারনেলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।তবে রিভিউ নিয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি মুশফিক।

আগের ম্যাচে হাল ধরা লিটন দাস ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ যখন ক্রিজে ছিলেন তখনও টাইগার সমর্থকদের একটা ‘আশা’ ছিল। একটি বড় জুটি গড়ে দলকে বড় পরাজয়ের হাত থেকে তারা যদি রক্ষা করেন!

কিন্তু সে আশাও গুড়েবালি। দলীয় ১৩৫ রানে আউট হয়ে যান প্রথম ইনিংসে ৭০ রান করা লিটন দাস এ ইনিংসে মাত্র ১০ রান করে বিদায় নেন।

লিটন দাসের পথ ধরে দলীয় ১৩৯ রানে বিদায় নেন দলের পক্ষে আশাজাগানিয়া ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহও। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসটি ছিল ৭টি চার ও একটি দর্শনীয় ছক্কায় সাজানো।