ধর্ষণের পর প্রেমিকাকে হাসপাতালে রেখে লাপাত্তা প্রেমিক

ধর্ষণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় প্রেমিকাকে (২৫) হাসপাতালের বারান্দায় রেখে পালিয়েছে কথিত প্রেমিক। এমনকি তরুণীর মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকারও নিয়েছে গেছে ওই ধর্ষক।

শনিবার বিকালে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে কুয়েত প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে এই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।শুক্রবার বিকালে ওই প্রেমিক দেশে ফিরছে বলে তাকে ফোন করে দেখা করার জন্য বলে। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী।

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় প্রতারক প্রেমিক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নং ওয়ার্ডে রেখে রক্ত সংগ্রহের কথা বলে পালিয়ে যায়। এ সময় তরুণীর কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ধর্ষক।

ধর্ষণের শিকার তরুণীর মামি জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে তারা এখানে আসেন। মেয়েটির বাবা নেই। তাকে নিয়ে তার মা মামার বাসায় থাকেন। মা মানসিক প্রতিবন্ধী। মেয়েটিও খানিকটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। কয়েকদিন ধরেই সে ফোনে কারও সঙ্গে বেশি বেশি কথা বলছিল। তাকে বারণ করার পরও কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বোঝানো যাচ্ছিল না।

তিনি আরও জানান, তাদেরকে মেয়েটি জানিয়েছে, যে ছেলের সঙ্গে কথা বলতো সে কুয়েতে চাকরি করে। সেখান থেকে এসেছে। তাই শুক্রবার বিকালে বাড়ির সবার নজর এড়িয়ে সে দেখা করতে গিয়েছিল।

ধর্ষণের শিকার তরুণী তার মামা-মামীকে জানিয়েছে, ছেলেটি নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুরের কোনো এক জায়গায় নিয়ে এসে রাতে তাকে উপর্যপুরে ধর্ষণ করে। এরপর প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তাকে হাসাপাতালে নিয়ে আসে। রক্ত সংগ্রহের কথা বলে সে তার মোবাইলফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মেয়েটিকে হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওসিসি থেকেই তাকে আইনগত সহযোগিতা দেয়া হবে।

রাজপাড়া থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে মেয়েটি বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে। মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে গোদাগাড়ীতে। এরপর সেখান থেকে চলে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরায়। তারপরে হাসপাতালে। এখন কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে সে বলতেও পারছে না। এখনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।