নওয়াজ পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে সমন জারি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে দেশটির তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব)। শরিফ পরিবারের অবৈধ সম্পত্তির মালিকানা থাকার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার তদন্তের শুনানিতে অংশ নিতে ওই সমন জারি করেছে ন্যাব।

লাহোরে তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশ নিতে রোববার সকালে নওয়াজ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে বলে ন্যাবের এক মুখপাত্র ডননিউজকে জানিয়েছেন।

ন্যাবের মুখপাত্র অসিম আলি নওয়াজিশ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, তার ছেলে হাসান নওয়াজ, হোসাইন নওয়াজ এবং মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ ও তার স্বামী ক্যাপ্টেন সাফদারের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে নওয়াজ ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে ন্যাবের তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নওয়াজ পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে সমন জারির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে শুক্রবার। এতে তাদেরকে আজ (রোববার) তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ, মেয়ে মরিয়ম ও ক্যাপ্টেন সাফদারকে ইতোমধ্যে ন্যাবের সমন জারির প্রজ্ঞাপন পেয়েছেন এবং তাদেরকে আলাদা আলাদাভাবে ন্যাবের লাহোর অফিসে তলব করা হয়েছে।

ডন বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই ছেলে হাসান এবং হুসাইন শহরের বাইরে রয়েছেন। ন্যাবের জারি করা সমন নওয়াজের দুই ছেলের কাছে পৌঁছায়নি। এর আগে গত সপ্তাহে আল-আজিজিয়া স্টিল মিলের এক মামলায় নওয়াজ ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে সমন জারি করে ন্যাব।

এদিকে, পানামা পেপারস দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে নওয়াজ শরিফের রিভিউ আবেদন করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। রিভিউয়ের রায় না হওয়া পর্যন্ত নওয়াজ ও তার দুই ছেলে ন্যাবের শুনানিতে অংশ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রিভিউ আবেদন ঝুলে থাকলেও পানামা পেপারস মামলার চূড়ান্ত রায় স্থগিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে পৃথক একটি আবেদন করেছেন নওয়াজ শরিফ।

গত ২৮ জুলাই দুর্নীতির অভিযোগে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা দেন।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ, তার ছেলে ও জামাতার লন্ডনে থাকা চারটি ফ্লাটের মালিকানার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে ন্যাব। একই সঙ্গে নওয়াজ পরিবারের অবৈধ সম্পত্তি, মানি লন্ডারিং ও বিদেশে থাকা সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তের পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়।

তবে শুরু থেকেই তার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পত্তির মালিকানার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন নওয়াজ।