নবজাতক সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টা করলেন মা

সদ্য পৃথিবীতে আসা এক শিশুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক ছুরিকাঘাত করে মাটিচাপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কৃপায় বেঁচে গেছে শিশুটি। হাসপাতালের ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাকে বাঁচিয়ে রাখতে।

থাইল্যান্ডের ওয়েং ইয়াই জেলার খন সোয়ান গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে এক কবরখানা থেকে হঠাৎ এক শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পান খাজিট খ্রংগাইউ নামক ৫৩ বছর বয়সী এক মহিলা। আওয়াজ লক্ষ্য করে শিশুটিকে খুঁজতে গিয়ে তিনি অবাক হয়ে যান। শব্দটা আসছে কবরের ভিতর থেকে। কবর খুঁড়ে তিনি যা দেখেন তা যে কোনও লোককে চমকে দেবে। একটি সদ্যজাত শিশু যার সারা শরীরে অসংখ্যবার ছুরির আঘাতের চিহ্ন। চরম যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গলা ফাটিয়ে কাঁদছে। হয়ত মাকে খুঁজছে।

ওই মহিলা তারপর শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে ওয়েং ইয়াই হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর অবস্থা বেগতিক দেখে শিশুটিকে খন কিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

খন কিন হাসপাতালে পরিচালক জানিয়েছেন, শিশুটির গায়ে ১৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বুক, পেটে বেশি আঘাত করা হয়েছে। কিছু আঘাত করা হয়েছে হৃৎপিণ্ড বরাবর।

পুলিশের অনুমান, শিশুটির এমন অবস্থা করেছে তার মা-ই। থাইল্যান্ডে গর্ভপাত বেআইনী হওয়ায় মাঝে মাঝেই এরকম শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে। তবে এমন নৃশংসতা কমই দেখা যায়। নিজের মা তাকে মেরে ফেলতে চাইলেও ওই মহিলার সেবায় শিশুটি এখন বিপদের বাইরে। এই জন্যই বোধহয় বলে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’।