নারীকে ফেসবুকে অশালীন বার্তা পাঠিয়ে গ্রেপ্তার

হরহামেশাই পরিচিতজনের কাছ থেকে ফেসবুকে ইনবক্সে অশালীন এবং গালিগালাজপূর্ণ বার্তা পাওয়ার কথা শোনা যায়। আর এটি সম্ভবত নারীদের ক্ষেত্রেই বেশি ঘটে থাকে। ভুক্তভোগী অনেকেই এই ব্যাপারে চুপ থাকেন নয়তো ফেসবুকে অশালীন বার্তার স্ক্রিনশটসহ একটি পোস্ট দিয়ে পরিত্রাণ পেতে চান। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটলেও খুব কম সংখ্যক ব্যক্তিই এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিতে চান।

গত ৪ জুলাই ঢাকার জেনারেশন ফোর ওয়ার্ল্ড ইভেন্টস লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। তবে তিনি অন্য সবার মতো চুপ থাকেননি। থানায় গিয়ে মামলা করেছেন।

শুক্রবার জেনারেশন ফোর ইভেন্টস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী প্রীতি ওয়ারেছা বলেন, গত ৩ জুলাই জেসমিন চৌধুরী নামে আমার এক ফেসবুক বন্ধু সিলেটের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী শাহ ফয়সল মোহাম্মদের নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ একটি লেখার স্ক্রিনশট দিয়ে একটি পোস্ট দেন। আমার ফেসবুক বন্ধু জেসমিন সেখানে লেখেন, ‘এই লোক আমার বন্ধু তালিকায় ছিল, এই মাত্র খারিজ করলাম। তার স্ট্যাটাসে তার মন্তব্যগুলো স্ট্যাটাস থেকেও নোংরা। আশাকরি তার সাথে আমার কোনো কমন বন্ধু থাকবে না। এমন মানসিকতার লোকের বন্ধুদেরও আমি নিজের তালিকায় চাই না।’ আমি শাহ ফয়সল মোহাম্মদের ঐ পোস্টের নিচে তার অশালীন লেখার বিরুদ্ধে মন্তব্য করি। তারপরই তিনি আমার ফেসবুক ইনবক্সে খুবই নোংরা ভাষায় বার্তা পাঠান।’

প্রীতি ওয়ারেছা আরো বলেন, ‘লোকটির টাইমলাইন ঘুরে দেখি নারীদের বা নারী দেহের বিভিন্ন অঙ্গ নিয়ে এমন অনেক বিকৃত রুচির পোস্ট তিনি দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে এসব লিখে তিনি অনেক মানুষকে প্রভাবিত করছেন। নারীদের নিয়ে মানুষের মনে বিকৃত মন-মানসিকতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন। আজকে আমাকে অশালীন বার্তা, অন্যদিন আরেকজনকে পাঠাবেন। নারীদের নিয়ে এমন অসম্মানজনক কথাবার্তা আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই গত ৭ জুলাই তার নামে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করি।অভিযুক্তকে সিলেট থেকে ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুব শিগগির তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে বলে পুলিশ আমাকে জানিয়েছেন।’

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, মামলাটি ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। তারাই মামলাটি পরিচালনা করছেন।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার অভিযুক্তকে সিলেটে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় প্রেরণের জন্য আবেদন করেছি। ঢাকায় আনার পর আমরা আদালতে আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করব।’