নারী ভোটার কম হওয়ার ৮ কারণ

নারী ভোটার কম হওয়ার জন্য ৮টি কারণ চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন হালনাগাদে তাদের হার বাড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ দফাদার ও গ্রাম পুলিশকে সম্পৃক্ত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, মহিলাদের ভোটার করা নিশ্চিত করতে স্থানীয় মহিলা জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে জেলা, উপজেলা, সিটি, পৌর ও ইউপি’র সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের সহযোগিতা নিতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার হালনাগাদের ব্যাপক প্রচারণার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

আসন্ন ভোটার তালিকা হালনাগাদে মহিলা ভোটার অন্তর্ভূক্তির হার ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’যেনো কম না হয় সে বিষয়ে মাঠ কর্মকর্তাদের বিশেষ নজর দিয়ে কাজ করার জন্য ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি বৃহস্পতিবার মাঠ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাঠানো হয়।

ইসির নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, বিগত ভোটার তালিকায় মহিলা ভোটার কম হওয়ার বিষয়ে আটটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- নির্ধারিত ফি দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহে অনীহা, হিন্দু বিবাহিত মেয়েদের পিত্রালয়ে নিবন্ধনে অনীহা, অবিবাহিত মেয়েদের ভোটার হতে অনীহা, বাবা-মা’র জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে ব্যর্থ হওয়া, রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র দূরে হওয়া, আবহাওয়া অনুকূল না থাকা, ধর্মীয় অজুহাতে ছবি তুলতে অনীহা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মহিলাদের অসচেতনতা মহিলাদের ভোটার না হওয়া।

এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে হালনাগাদ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সমন্বয় কমিটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হালনাগাদের সময় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, দফাদার ও গ্রাম পুলিশকেও রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এছাড়া, মহিলাদের ভোটার করা নিশ্চিত করতে স্থানীয় মহিলা জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে জেলা, উপজেলা, সিটি, পৌর ও ইউপি’র সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার হালনাগাদের ব্যাপক প্রচারণার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি তাদের তথ্য নেওয়া হবে।

বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ১৮ লাখ ভোটার রয়েছে। এতে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটার ১৩ লাখের মতো কম।