নিজেকে ধর্মভীরু দাবি ট্রাম্প পত্নীর

নিজেকে ক্যাথোলিক মতে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। জন এফ কেনেডির পর হোয়াইট হাউসে কোনো ক্যাথোলিক (কট্টরপন্থী খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী) প্রেসিডেন্ট প্রবেশ করেননি। জন এফ কেনেডির স্ত্রী জ্যাকুলিনও ক্যাথোলিক মতে বিশ্বাসী ছিলেন। এর পর অর্ধশতাব্দী নিজেকে ক্যাথোলিক বলে দাবি করলেন মেলানিয়া ট্রাম্প।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্মানে ফ্লোরিডায় এক শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মেলানিয়া। সেখানে ঈশ্বরের প্রার্থণাসঙ্গীত গেয়ে সবাইকে চমকে দেন তিনি। তবে এটা এখনো অস্পষ্ট যে মেলানিয়া কবে ক্যাথোলিক হয়েছেন বা তাকে ব্যাপ্টাইজড (ক্যাথোলিক ধর্মে দীক্ষা দেয়া) করা হয়েছে।

শিশু অবস্থায় সাধারণত শিশুদের ক্যাথোলিক ধর্মে দীক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু শিশু অবস্থায় মেলানিয়া ও তার বোনকে ব্যাপ্টাইজড করা হয়নি। মেলানিয়ার বাবা স্লোভেনিয়ার কমিউনিউস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। ওই পার্টি নাস্তিকবাদে বিশ্বাসী ছিল।

খ্রিস্টান ধর্মের মূল দু’টি ধারা ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট। ক্যাথলিকগণ মনে করেন, পোপ সকল চার্চের প্রধান ও যীশু খ্রিষ্টের বিকল্প। তারা মনে করেন, পোপ শিক্ষা ও বচন হল অভ্রান্ত এবং খ্রিস্ট বিশ্বাস ও ধর্ম জ্ঞান চর্চায় তিনি কোন ভুল করতে পারেন না। ক্যাথলিকরা ঈশ্বর-যীশু ছাড়াও অনেক সাধু-সন্তদের উদ্দেশ্য প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে, খ্রিস্টান ধর্মালম্বী প্রোটেস্ট্যান্টগণ মনে করেন, কোন মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নন। আর একমাত্র যীশুই হল সকল চার্চের প্রধান। ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত পবিত্র বাইবেল হল একটি সম্পূর্ণ বিধান এবং একমাত্র বাইবেলের শিক্ষাই জগতের মুক্তিলাভ করার জন্য যথেষ্ট। সূত্র: ডেইলি মেইল।