নিজ পরিচালকদের রেঁধে খাওয়ালেন শাবনূর

এক সময়ের লাস্যময়ী চিত্রনায়িকা শাবনূর চলচ্চিত্রে এখন নিয়মিত নন। তবে তার দীর্ঘ বর্ণিল ক্যারিয়ারে অসংখ্য চিত্রপরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করেছেন। এর মধ্যে একেবারে ঘনিষ্ঠ কিছু পরিচালকের নিজের বাসায় আমন্ত্রণ জানান তিনি। তাদের নিয়ে একটি ঘরোয়া পার্টির আয়োজনও করেন তিনি। শুক্রবার দিনগত রাতে নিজ পরিচালকদের রেঁধে খাওয়ান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চিত্রনায়িকা।

মেন্যুতে ছিল কয়েক পদের সুস্বাধু মজাদার খাবার। ছিল পোলাও, দই, মাংস, মাছ, ভর্তা, সবজি। যার সবটাই রেঁধেছিলেন শাবনূর। শাবনূরের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস। এই নির্মাতার ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শাবনূর।

দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘শাবনূরের সঙ্গে আমার প্রায় ৮-১০ বছর পর দেখা হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১১টা; পুরো সময়টা আমি শাবনূরের ইস্কাটনের বাসায় ছিলাম। দারুণ কিছু সময় কেটেছে। এরপর খাওয়া-দাওয়া করেছি।

তিনি বলেন, ‘শাবনূর যেসব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছে, যেসব পরিচালকদের খুব আপন মনে করেছে, তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ‘গেট টুগেদার’ করেছে। তবে এটা ঈদ পুনর্মিলনী নয়, বলা যায় শাবনূরের পরিচালকদের পুনর্মিলনী। এ ছাড়া শাবনূরের সঙ্গে আমরা যারা কাজ করেছি সবাই তাকে নিয়ে গল্পেগল্পে স্মৃতিচারণ করেছি। শাবনূর নিজেই এটা চেয়েছিল।

দেবাশীষ বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আজকাল এমন ফিল্মী আড্ডা হয় না। অনেকদিন পর এমন ফিল্মী আড্ডা হলো। নবীন-প্রবীনদের মিলবন্ধনে মনটা ভরে গেছে শাবনূরের আপ্যায়নে। তবে শাবনূর ফিল্মে আবার নিয়মিত হবে কি না সেসব নিয়ে কথা হয়নি, সেখানে শাবনূরের স্বামী অনিক মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন না।

শাবনূরের বাসায় রাতের খাবার খাওয়া আর আড্ডায় অন্যান্যদের মধ্যে আজিজুর রহমান, মতিন রহমান, বাদল খন্দকার, ছটকু আহমেদ, জাকির হোসেন রাজু, আব্দুল মান্নান, শাহ মোহাম্মদ সংগ্রাম, আলী আজাদ, সারোয়ার হোসেন, চন্দন চৌধুরী, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, ওয়াকিল আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, মুশফিকুর রহমান গুলজার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ আয়োজন প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমি ঢাকা আর সিডনি যাওয়া-আসার মধ্যে আছি। সবার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয় না। তাই কিছুদিন আগে ভাবলাম, চলচ্চিত্রে আমার যে পরিচালকেরা আছেন, তাদের সবাইকে বাসায় দাওয়াত দিই। ইদানিং আমি রান্না শিখেছি। এই রান্না শেখার ব্যাপারে এক বন্ধু সহযোগিতা করেছে। এবার সবাইকে নিজে রান্না করে খাওয়ালাম। খাওয়াও হলো, আড্ডাও হলো।’