নিরাপত্তার চাদরে শোলাকিয়া, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে নজরদারি করবে। এ ছাড়াও শহরসহ মাঠের প্রবেশ পথগুলোতে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। নামাজ শুরুর আগে পুরো মাঠ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। শোলাকিয়া মাঠ ও শহরের অলিগলিতে বসানো হবে নিরাপত্তা চৌকি। মাঠে প্রবেশ করতে প্রত্যেক মুসুল্লিকে তল্লাশি করা হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, তা ছাড়াও ঈদগাহের আশেপাশে প্রতিটি বাড়িতে তল্লাশি চলছে। নতুন কোনো ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ভাড়া না দেয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। এবার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেই মুসল্লিরা নামাজ আদায় করবেন।

এদিকে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত আয়োজনের তোড়জোড় চলছে শোলাকিয়া ময়দানে। ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা শোলাকিয়ার জামাতকে সফল করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। জামাতের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখতে জেলা প্রশাসকসহ র‌্যাব-পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। তারা দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন।

শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সঙ্কেত দেওয়া হবে।

জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।