নির্বাচনে সেনা চায় না ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় না ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন।

রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে এসব দাবি তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন।

দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহানারা বেগম আলোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সংলাপে বসে। এ সময় ইসির কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

দলটি মনে করে বিশেষ প্রয়োজনে পরিস্থিতি অনুযায়ী বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনী নিয়োগ করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের অন্যান্য প্রধান দাবিগুলো হলো- দলীয় প্রচারে ধর্মকে ব্যবহার না করা, ধর্মের নামে রাজনীতি করে এমন দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া, সকল দলের সমান সুযোগ দেওয়া, ভোটার সংখ্যা অনুপাত এবং প্রশাসনিক এরিয়া বিবেচনায় রেখে সংসদীয় এলাকা নির্ধারণ করা। এ ছাড়াও নিবন্ধিত দল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের হলে, দেশদ্রোহী কাজ না করলে এবং সেই দল নির্বাচনে কখনো অংশ না নিলে তার নিবন্ধ বাতিল না করা, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন করা, অনলাইনে মনোনয়ন জমার সুযোগ, সাংবিধানিক বাধ্যবধকতা বজায় রাখার জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্দিষ্ট সময়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা।

এদিকে আজ বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী এ সংলাপ করছে ইসি। সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের পর ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন।

২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৬ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। রোডম্যাপ অনুযায়ী সংলাপ হচ্ছে।