নীল হয়ে যাচ্ছে কুকুরগুলো, রহস্য লুকিয়ে নদীতে!

অদ্ভুত এক ঘটনা। নাভি মুম্বাইয়ের তালোজা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় কুকুরের রং নীল হয়ে যাচ্ছে। এমনটা পৃথিবীর কোথাও ঘটেছে কিনা কেউ বলতে পারছেন না। কেন এমন ঘটতে পারে? অনেক চিন্তার ঝড়ের পর বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, কাসাদি নদীই দিতে পারে তার উত্তর।

শিল্পঞ্চলের যত বর্জ্য তার সবই ঠাঁই পায় কাসাদি নদীতে। আবার অনেক সময়ই নদীতে ফেলে দেওয়া খাবার কিংবা বর্জ্য কুকুলগুলোরও খাবারের উৎস হয়ে ওঠে। এই বর্জ্যের রংই কুকুরগুলোকে উজ্জ্বল নীল রংয়ের করে দিচ্ছে।

সম্প্রতি নাভি মুম্বাই অ্যানিমেল প্রটেকশন সেল একটি কুকুরের ছবি তুলে অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছে। দেখে মনে হয়, এর দেহ নীল রং করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা মহারাষ্ট্র পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (এমপিসিবি) এ অভিযোগও দায়ের করেছে পরিবেশ দূষণ বিষয়ে। শিল্পকারখানাগুলো থেকে যাবতীয় বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হয়।

ওই অঞ্চলে প্রায় ১০০০টি ফার্মাসিউটিক্যাল, ফুড আর ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাক্টরি রয়েছে।

নাভি মুম্বাইয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সাদা কুকুরটির রং নীল হয়ে যাওয়ার ঘটনা সত্যিই আমাদের অশনি সংকেত দেয়। এমন প্রায় ৫টি কুকুর খুঁজে পেয়েছি আমরা, জানান এক অ্যানিমেল প্রটেকশন সেলের কর্ণধার আরতি চৌহান।

দূষিত নদী স্বাভাবিকভাবেই মানুষের স্বাস্থ্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। নদীর মাছের মজুদ আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। ইতিমধ্যে ৩০০টি ইন্ডস্ট্রিয়াল ইউনিট থেকে বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলছে গবেষণা আর তোড়জোড়।

এদিকে, পশু অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলো বলছে, তবুও অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই জানান, আমরা তো কেবল নীল কুকুর দেখেছি। পাখি, সরীসৃপ আর অন্যান্য প্রাণীর কি অবস্থা হয়েছে তা এখনও নজরে আসেনি।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস