পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেন মন্ত্রী

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কিছু দুর্নীতি হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এখানেও যে দুর্নীতি হচ্ছে না তা আমি বলবো না। এখানেও কিছু দুর্নীতি হচ্ছে। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি বা কোনো অবহেলার কারণে হাওরের বাঁধগুলো ভেঙে গেছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (উন্নয়ন) নেতৃত্ব ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ঢালাওভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা ধ্বংস করার কোনো মানে হয় না। আমরা যখন কথা বলি আমাদের কথার ইমপ্যাক্ট কতদূর পড়ে তা ভেবে দেখতে হবে। পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই একটি ধারণা থাকে যে শত শত কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। দেখা গেলো কোনো প্রকল্পের বাজেট ১০ থেকে ১১ কোটি। অথচ বলা হয় শত শত কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে।

আরেক এমপি এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানান, ঢাকার চারদিকের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার (নতুন ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশী-তুরাগ-বুড়ি গঙ্গা রিভার সিস্টেম) শীর্ষক একটি প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।

‘এ প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নতুন ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশী-তুরাগ নদী খননের কার্যক্রম অন্তর্ভু। শুষ্ক মৌসুমে বুড়িগঙ্গা নদীতে পানির প্রবাহ বাড়ানোর মাধ্যমে পানির গুণগতমান বৃদ্ধি, তুরাগ-শীতলক্ষ্যাসহ বুড়িগঙ্গা নদীর ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি, সেচ ও মৎস্য সম্পদেও উন্নয়ন অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন সাধিত হবে,’ যোগ করেন তিনি।