পান্তা খেয়ে মাটি কাটলেন এমপি জগলুল

সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারের মাটি কাটা চলছেই। নদীভাঙন কবলিত তার এলাকার যেখানেই ভাঙনের খবর পাচ্ছেন ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। শ্রমিকদের সঙ্গে মিলে মাটি কেটে পাড় বাঁধছেন তিনি। শনিবার ভোর থেকে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটিতে মাটি কেটেছেন। কাজের বিরতিতে আম আর কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তা খেলেন শ্রমিকদের সঙ্গে।

গত বেশ কিছুদিন ধরেই এভাবে সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন এমপি জগলুল। এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মাথায় করে মাটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি আলোচিত হয়। আওয়ার নিউজে খবর হয় তাকে নিয়ে। আবার খবরে এলেন মাটি কেটে শ্রমিকদের সঙ্গে বসে পান্তা খেয়ে।

জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটিতে আবার ভয়ানক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ কথা জানতে পেরে শনিবার (২৭ মে) ফজরের আজানের পরপরই ভাঙনস্থলে উপস্থিত হন জগলুল হায়দার এমপি। তখনো ভালোভাবে সকালের আলো ফোটেনি। শ্রমিকরাও কাজে আসেনি কেউ। এরপর শ্রমিকরা এলে তাদের সঙ্গে কাজে লেগে যান এমপি।

সেই ছবি- পরনে কাছা মারা লুঙ্গি, গায়ে শ্যান্ডো গেঞ্জি, পায়ে রাবারের স্যান্ডেল, কোমরে ও মাথায় গামছা বাঁধা। মাথায় মাটির ঝুড়ি নিয়ে ঢাল বেয়ে উঠে যাচ্ছেন পাড়ে। মাটি ফেলে ফিরে এসে একজন সাধারণ শ্রমিকের মতোই আবার মাথায় তুলে নিচ্ছেন ঝুড়ি। শ্রমিকরাও এখন তার সঙ্গে কাজ করে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।

আজ নতুন যে দৃশ্যটি দেখা গেল, এক দফা কাজ করার পর বিরতিতে শ্রমিকদের সঙ্গে মাটির ঢেলায় বসে পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ আর আম দিয়ে পান্তাভাত খান জগলুল হায়দার এমপি।

সাতক্ষীরার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীভাঙনের সমস্যা আছে। ভাঙন রোধে সেখানে নির্মিত হচ্ছে বাঁধ। আর এই নির্মাণকাজ তদারক করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। তারপর নিজেই নেমে পড়েছিলেন টুকরি নিয়ে। তার মাটি কাটার সেই শুরু।

শ্রমিক, সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি নিজে মাটি কাটছেন বলে ঢাকাটাইমসকে জানান জগলুল হায়দার এমপি। তিনি আরো জানান, তার দেখাদেখি অনেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও এখন এমন কাজ করছে।