পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে পুতিনের হুমকি ‘বাস্তব’ : বাইডেন

কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুমকিকে ‘বাস্তব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের নিন্দা করার কয়েকদিন পর তিনি এই মন্তব্য করলেন।

২০ জুন (মঙ্গলবার) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের হুমকি ‘বাস্তব’ বলে জানিয়েছেন বাইডেন। এর আগে বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনকে গত শনিবার ‘একদম দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় সময় সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ায় দাতাদের একটি দলকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘যখন আমি প্রায় দুই বছর আগে এখানে বলেছিলাম, কলোরাডো নদী শুকিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন, তখন সবাই আমাকে পাগলের মতো দেখেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিল যখন আমি বলেছিলাম- কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে পুতিনের হুমকি সম্পর্কে আমি উদ্বিগ্ন। তবে এটা বাস্তব।’

গত সপ্তাহে বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, তার দেশে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। যার মধ্যে কিছু অস্ত্রকে তিনি ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমার চেয়ে তিনগুণ বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করেন।

আর এর মাধ্যমে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর এই প্রথম রাশিয়া তার সীমানার বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করলো। রাশিয়ার বাইরে মোতায়েন করা এই ধরনের ওয়ারহেডগুলো স্বল্প-পাল্লার এবং কম শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ার এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটনের নিজের অবস্থান পরিবর্তন করার কোনো ইচ্ছা নেই এবং রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনো লক্ষণও যুক্তরাষ্ট্র পায়নি।

এর আগে গত মে মাসে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে ইউরোপে এই জাতীয় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে এসেছে।

অবশ্য বেলারুশে রুশ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের এই ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর পাশাপাশি চীনও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে বারবার সতর্ক করে এসেছে বেইজিং।