পাহাড়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাবা-ছেলেকে হত্যা

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরো দুজন সদস্য। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে ওই পরিবারের এক শিশু।

সদর থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে) সন্ধ্যার পর দেবতাপুকুর থলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জমিজমা এবং ভোটের বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।

নিহতরা হলেন চিরঞ্জিত ত্রিপুরা (৫৫) ও তাঁর ছেলে কর্ণ ত্রিপুরা (৩০)।

আহতরা হলেন চিরঞ্জিতের স্ত্রী ভবলক্ষ্মী ত্রিপুরা (৪৫) ও পুত্রবধূ বিজলী ত্রিপুরা (২৮)। নিখোঁজ রয়েছে কর্ণ ত্রিপুরার সাত বছরের শিশুপুত্র যুবরাজ ত্রিপুরা।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আহমেদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাহত আছে।

চিরঞ্জিতের স্ত্রী ভবলক্ষ্মী ত্রিপুরা (৪৫) ও পুত্রবধূ বিজলী ত্রিপুরা (২৮) হাসপাতালে অভিযোগ করেন, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়নের থলিপাড়া এলাকায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য কালিবন্ধু ত্রিপুরা নেতৃত্বে ২০-৩০ সন্ত্রাসী তাদের বাড়িতে হামলা চালায়।

এ সময় সন্ত্রাসীরা চিরঞ্জিত ত্রিপুরা ও তাঁর ছেলে কর্ণ ত্রিপুরাকে ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও গুলি করে। এ সময় চিরঞ্জিতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

হামলায় চিরঞ্জিত ত্রিপুরা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। কর্ণ ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কর্ণের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হন ভবলক্ষ্মী ও বিজলী। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের শহীদ কাদের সড়কে নিহত চিরঞ্জিত ত্রিপুরার ওপর হামলা করে কয়েকজন মুখোশধারী। এতে তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েক দিন আগে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরেন।