প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন, ছবি তোলার হিড়িক!

প্রকাশ্যে দিবালোকে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করছেন তারই পরিচিত এক ব্যক্তি। আর চারদিকে মানুষ ভীড় করে সে দৃশ্য দেখছে।

এমনকি কেউ আবার ভিডিও করছে, ছবি তুলছে। কেউ হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেনি। খবর আনন্দবাজার’র।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপা জেলার প্রোদাতুর শহরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মারুতি রেড্ডি (৩২)। জাম্মালামাদুগুর দেবগুঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন সকালে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে অটোতে চড়ে জেলা আদালতে যাচ্ছিলেন মারুতি। তাকে অনুসরণ করছিলেন শ্রীনিবাস রেড্ডি এবং রঘুনাথ নামে তারই পরিচিত দুই ব্যক্তি।

আদালত থেকে কিছু দূরে মারুতিকে অটো থেকে টেনে নামিয়ে আচমকাই কোপাতে শুরু করেন শ্রীনিবাস। ভয়ে এদিক-ওদিক পালিয়ে যান অটোচালক ও যাত্রীরা।

একের পর এক ১১ বার ধারাল অস্ত্র দিয়ে মারুতিকে কোপান শ্রীনিবাস। আর তাকে পাশে থেকে সহযোগিতা করেন রঘুনাথ।

সবার চোখের সামনে মারুতিকে খুন করে সেখান থেকে হেঁটে চলে যান শ্রীনিবাস ও রঘুনাথ।

পরে অবশ্য অভিযুক্তরা প্রোদাতুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।

এই পুরো ঘটনাটি অবলোকন করেছেন রাস্তা ভর্তি লোক। অনেকেই ক্যামেরাবন্দি করেছেন ঘটনাটি। অথচ কেউই মারুতিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি।

গোটা দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, রাজনৈতিক কারণেই মারুতিকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের ধারণা কোনো রাজনৈতিক কারণ নয়, এর পেছনে রয়েছে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র।

তবে পুলিশের একাংশের দাবি, অবৈধ সম্পর্কজনিত কারণকে ঘিরে দুই পরিবারের মধ্যে একটা ঝামেলা চলছিল। সেই ঝামলারই ফলশ্রুতি এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড।