প্রতিদিন হাঁটলেও হতে পারে ‘হার্ট অ্যাটাক’

শরীর ঠিক রাখতে নিয়মিত হাঁটেন অরায় সবাই। কিন্ত জানেন কি, প্রতিদিন হাঁটলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

কীভাবে হাঁটবেন, সেটাই আসল। সময় মেনে, নির্দিষ্ট গতিতে নিয়মিত হাঁটতে হবে। না হলে হৃদরোগের সম্ভাবনা।

সুস্থ থাকতে হলে হাঁটতেই হবে। হাঁটার নির্দিষ্ট গতিতেই লুকিয়ে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। কতটা গতিতে একজন মানুষ হাঁটতে পারবেন, তার ওপরেই নির্ভরশীল তার সুস্থতার মাপকাঠি। সম্প্রতি এক ব্রিটিশ গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

গবেষকদের দাবি, যে সব মানুষের চলার গতি কম, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আবার যাদের চলার গতি একটু বেশি, তাদের হার্ট সবল। স্বাভাবিকভাবেই এমন মানুষের আয়ুও বেশি।

দ্রুত বদলাচ্ছে সময়। গতি বাড়ছে। আধুনিক জীবনে ব্যস্ততা প্রকট। এই ব্যস্ততার জন্যই খাওয়া দাওয়া হোক বা ঘুম, কোনওকিছুই আর ঘড়ির কাঁটা মেনে চলে না। এই অনিয়মিত জীবনযাপনই ডেকে আনছে বিপদ। যা প্রতিফলিত হচ্ছে মানুষের হাঁটাচলায়। জীবন থেকে প্রায় উধাও হয়ে যাচ্ছে হাঁটা। অল্প বয়সেই শরীরে জাঁকিয়ে বসছে প্রাণঘাতী সব রোগ। কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বাড়ছে।

গবেষকদের দাবি, অতিরিক্ত জাঙ্কফুড অল্প বয়সে মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। তার অন্যতম কারণ হাঁটা কমিয়ে দেওয়া। কারণ, না হাঁটলে দ্রুত দুর্বল হতে থাকে হার্ট। প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মধ্যবয়সী মানুষের ওপর গবেষণায় চালায় ইউরোপের হার্ট জার্নাল। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় ১-২ বছরের মধ্যে। যার মধ্যে দেড় হাজারের বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এঁদের হাঁটাচলার গতি বেশ মন্থর ছিল। অনেকের আবার প্রথমে গতি ঠিক থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে।

গবেষকদের দাবি, প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষকে দিনে অন্তত ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটতেই হবে। দ্রুতগতিতে হাঁটলে প্রতি মিনিটে প্রায় ৬ ক্যালরি খরচ হবে। ৪৫ মিনিট এই গতিতে হাঁটলে শরীর থেকে প্রায় ২৫০ ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব। হাঁটা শেষে একটু বিশ্রাম বা অল্প ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকবে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ছোট থেকেই প্রতিদিন হাঁটতে হবে অবশ্যই। সময় মেনে, নির্দিষ্ট গতিতে। তাহলেই দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবে হার্ট।