প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ, ভাইকে জরিমানা!

বাক-প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষককে ৮ হাজার এবং তাকে মারপিট করায় ধর্ষিতার দুই ভাইকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সালিশকারীরা।

সোমবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আন্তাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই গ্রাম্য শালিস হয়।

ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ, শনিবার (১৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে বাক-প্রতিবন্ধী তরুণীকে (১৯) নিজ বাড়িতে একই এলাকার কফিলউদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩০) ধর্ষণ করে।

ধর্ষিতার ভাই জানান, শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে তার বাক-প্রতিবন্ধী বোন ঘুমিয়ে পড়ার পর মা ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকিয়ে পাশের বাড়িতে যায়। এ সুযোগে রফিকুল ইসলাম ঘরে ঢুকে ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় ওই তরুণীর মা চলে আসলে রফিকুল হাতে-নাতে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে ওই তরুণীর দুই ভাই এসে তাকে চড়-থাপ্পড় মারার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আন্তাদুল ইসলামের কাছে বিচার চাওয়া হয়।

পরবর্তীতে ওই ইউপি সদস্য, বাকি বিল্লাহ ও আবদুল মান্নানসহ গ্রাম প্রধানরা শালিসের ব্যবস্থা করে। সেখানে ধর্ষণের দায়ে রফিকুলকে প্রথমে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ৫ হাজার টাকা মাফ করে দিয়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং ওই টাকা ধর্ষিতাকে পরে দেয়া হবে জানায়। একই সঙ্গে ধর্ষক রফিকুলকে মারপিট করার দায়ে দুই ভাইকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করে সালিশকারীরা।

ধর্ষিতার পরিবার এ বিচারে সন্তুষ্ট হয়নি। তাদের দাবি তারা ন্যায্য বিচার পায়নি। তবে এ ব্যাপারে মামলা না করার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন ওই ইউপি সদস্য।

ইউপি সদস্য আন্তাদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।

চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান খেচু জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে শালিস হয়েছে তা আমার জানা নাই।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহরিয়ার খান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।