প্রতি এক ব্যাগ রক্তের দাম সাড়ে ৬ লাখ টাকা!

মার্কিন এক প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে তারা বিশেষভাবে বাছাইকৃত রক্ত সঞ্চালন করে বয়স্ক ব্যক্তিদের আবার তারুণ্য ফিরিয়ে আনতে পারে। শুধু দাবিই নয়, এজন্য তারা কাজও শুরু করেছে। এ কাজেই তারা যে রক্ত বিক্রি করছে তার প্রতি এক ব্যাগের দাম নেওয়া হচ্ছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোতে কাজ শুরু করেছে অ্যামব্রোসিয়া নামে স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠান থেকেই দাবি করা হয়েছে রক্ত সঞ্চালনার মাধ্যমে বয়স্কদের তারুণ্য ফিরিয়ে আনার। আর এজন্য তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু করেছে। প্রধানত ধনীরাই এ চিকিৎসা পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছেন।

শতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা শুরু করেছে অ্যামব্রোসিয়া। তাদের দাবি তারা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তরুণ কারো রক্তের প্লাজমা রোগির দেহে সঞ্চালিত করবেন। এজন্য প্রায় আড়াই লিটার রক্তের প্লাজমা দেবেন তারা।

চিকিৎসায় কাজ করছেন বিশ্বখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক জেসে কারমাজিন।
তিনি জানান, তাদের ট্রায়ালের প্রথম অংশের ফলাফল খুবই ভালো দেখা যাচ্ছে। এটি অনেকটা দেহের ভেতর থেকেই প্লাস্টিক সার্জারি করার মতো।

তিনি বলেন, ‘এর ফলে উন্নতি হতে পারে চেহারার, ডায়াবেটিসের, হৃৎযন্ত্রের কিংবা স্মৃতিশক্তির। এগুলো সবই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে। ’

তাহলে এ চিকিৎসা কি মানুষকে বয়স বাড়তে দেবে না? এ প্রসঙ্গে ড. কারমাজিন বলেন, ‘আমার এটা প্রচার করার কোনো ইচ্ছা নেই যে, এটা মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে। তবে আমি মনে করি এটা তার কাছাকাছি। ’

অবশ্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এ পদ্ধতি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা বলেন, এটি অপ্রমাণিত একটি পদ্ধতি। এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও বিষয়টি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য দেবে না।

ডা. কারমাজিন চিরযৌবন এনে দেওয়ার যে পদ্ধতির চিকিৎসা করছেন, তার ভিত্তি ইঁদুরের ওপর গবেষণা। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, বুড়ো ইঁদুরদের দেহে তরুণ ইঁদুরের রক্ত সঞ্চালনায় তাদের দেহে তারুণ্যের লক্ষণ প্রকাশিত হয়। আর এ গবেষণার ভিত্তিতেই তারা এখন মানুষের ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছেন।

অবশ্য ড. কারমাজিন বলছেন এ পদ্ধতিতে রক্ত সঞ্চালনায় ইতোমধ্যেই তারা যথেষ্ট ভালো ফলাফল পেয়েছেন। এমনকি প্রথমবার রক্ত দেওয়ার পরেই এর প্রভাব বোঝা যায়।

সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট