প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অনশন!

বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক কন্যা সন্তানের জননী। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবিও করছেন ওই প্রেমিকা।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের বিরাট গ্রামের মিঠু মল্লিকের বাড়িতে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অবস্থান করছেন ওই নারী। মিঠু মল্লিক (২৮) ওই গ্রামের মান্নান মল্লিকের ছেলে।

অনশন করা প্রেমিকা হলেন রাহিমা খাতুন লাকী (৩৭)। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমিক মিঠুর পরিবার ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেলেও ওই বাড়িতে অনশনরত প্রেমিকাকে দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।

রাহিমা খাতুন লাকী বলেন, মিঠুর সঙ্গে তার ৪ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। বর্তমানে তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা । এরআগে আরো দুইবার অন্তঃসত্ত্বা হলেও মিঠু জোর করে বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত ঘটায়। মিঠু তাকে বিয়ের আশ্বাস দিলে গত ১০ জুলাই স্বামী খলিল শিকদারকে তালাক দেন লাকী। কিন্তু সম্প্রতি বিয়ের কথা বললে মিঠু কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি আরো বলেন, প্রেমিকের কথা মতো স্বামীর ঘর ছেড়েছেন তিনি। এখন স্বামীও তাকে গ্রহণ করবেন না। এ অবস্থায় আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। বিয়ে না করা পর্যন্ত এ বাড়ি থেকে কোনোভাবেই বাড়ি ফিরে যাবে না বলে জানান লাকী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে বাকেরগঞ্জের দুধলমৌ গ্রামের ছোবাহান শিকদারের ছেলের সঙ্গে একই উপজেলার ভরপাশা গ্রামের আবুল শিকদারের মেয়ে রাহিমা খাতুন লাকীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ বছর পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের কিছুদিন পর খলিল শিকদার সৌদি আরব গেলে লাকী মিঠুর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দীর্ঘ ৪ বছর ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে লাকীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে মিঠু।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রারেক মাস্টার বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।