প্রেমের কারণে আওরঙ্গজেবকে পাথর ছুড়ে হত্যা!

পাকিস্তানে ফের অনার কিলিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এবারের শিকার ৪৩ বছর বয়সী এক পুরুষ।

বৃহস্পতিবার ডন.কম জানায়, গত বুধবার হাজরো থানার ঘৌরগুশটি এলাকার বারাজাই ব্রিজের কাছে পাথর নিক্ষেপে ক্ষতবিক্ষত এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে কাছের টিএইচকিউ হাসপাতালে মরদেহটি স্থানান্তর করে। এ সময় ঘটনাস্থলে প্রচুর পাথর পড়ে থাকতে দেখা যায়।

চিকিৎসকরা মরদেহের গলা থেকেও একটি পাথর বের করেন। পরে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি গাজি টাউন এলাকার মিয়া দেহরি গ্রামের আওরঙ্গজেব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অপরাধ সংঘটনস্থল থেকে উদ্ধার করা প্রমাণাদি বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ ছিল ‘পারিবারিক সম্মান (অনার) রক্ষা’।

সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার রাজা ফাইয়াজুল হক নিশ্চিত করেছেন যে আওরঙ্গজেবকে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে, নিহতের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া তথ্যাদি খুনিদের ধরতে কাজে লাগানো হবে বলে জানায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তানের অনেক স্থানে পরিবারের অমতে, ধনী-গরিব এবং জাতপাতের বিচার না করে বিয়ে করা প্রেমিক জুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মিডিয়ায় যার পোশাকি নাম ‘অনার কিলিং’। সংশ্লিষ্ট প্রেমিক বা প্রেমিকার পরিবারই নিজেদের তথাকথিত মান-মর্যাদা রক্ষায় এসব হত্যকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। জঘন্য এই প্রথায় কখনো শুধু নিজেদের পরিবারের ‘অপরাধী’ ছেলে বা মেয়েটিকে, কখনো উভয়কেই হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে কখনো স্বয়ং পরিবার তথা জ্ঞাতী-গোষ্ঠীর সদস্যরা অংশ নেয়, কখনো ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করা হয়। ব্যাপক সমালোচনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় সাম্প্রতিক সময়ে ‘অনার কিলিং’য়ের ঘটনা দৃশ্যত অনেক কমে আসলেও মাঝে-মধ্যেই এ ধরনের পৈশাচিক ঘটনা সংবাদ শিরোনাম হয়।