ফের ভারী বর্ষণ, ফের ভূমিধসের শঙ্কা

এক রাতের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম, ও তিন পার্বত্য এলাকায় ব্যাপকহারে পাহাড় ধসের মধ্যেই আবারও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও করছে।

অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

গত সোমবার রাতে ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটিতে ব্যাপকহারে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড় ধসে পড়ে বান্দরবানেও। এতে কেবল রাঙ্গামাটিতেই একশরও বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৩১ জন, বান্দরবানে সাত জনের মৃত্যুর নিশ্চিত খবর এসেছে।

দুই দিন ধরে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। এখনও বহু মানুষ মাটির স্তূপে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অন্য একটি সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা জানিয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর পুন. তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

তবে যোগাযোগ করা হলে অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বুধবার দুপুরে বলেন, তিন নম্বর বিপদ সংকেত তারা তুলে নেবেন। তবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস এখনও বহাল আছে।

চলতি বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দেশ জুড়ে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর দেশে যে পরিস্থিতি সেটি প্রতি পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে একবার আসে।