বক্তৃতা শেষ করে সুখবর জানালেন প্রধানমন্ত্রী

‘জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণত এ দুটি কথা বলে বক্তৃতা শেষ করেন। কিন্তু আজ শনিবার আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ-২০১৭ উদ্বোধন করতে গিয়ে ব্যতয় ঘটালেন। হাজি সাহেবদের একটি সুখবর দিতেই ব্যতয় ঘটান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজি সাহেবরা আল্লাহর ঘরের মেহমান। বর্তমান বাজেটে এয়ারপোর্ট ট্যাক্স বৃদ্ধি করার কারণে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা হাজি সাহেবদের গুণতে হতো। কিন্তু হজ প্যাকেজ আগেই ঘোষণা করার ফলে এ টাকার কথা আগে উল্লেখ করা হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এক হাজার টাকা খুব বেশি টাকা না। এ টাকা আপনারা দিতে পারবেন। তবুও আমি অর্থমন্ত্রীকে বলে দিয়েছি যেন অতিরিক্ত টাকা হাজি সাহেবদের কাছ থেকে আদায় করা না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতাশেষে ঘুরে ঘুরে হজযাত্রীদের অনেকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলেন। মহিলা হজযাত্রীদের দু’একজন তার সাথে করমর্দন ও মাথা নুইয়ে দোয়া-আর্শীবাদ নেন। এ সময় দুজন মুরুব্বী হজযাত্রী প্রধানমন্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া ও আর্শীবাদ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতাকালে বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বহুবার ওমরাহ ও মূল হজ করেছেন। ক্ষমতায় না থাকাকালে তিনি হজ করতে গিয়ে হাজিদের তাবু ঘুরে ঘুরে সমস্যা শুনেছেন। দেশে ফিরে সমস্যার কথা জানিয়ে সৌদি দূতাবাসে চিঠি লিখেছেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় না থাকাকালে সমস্যাগুলো কাছে থেকে দেখে উপলব্ধি করতে পারার অভিজ্ঞতা থাকায় ক্ষমতায় এসে হজের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য করণীয় সব করেছি। বিএনপি সরকারের আমলে ৪৮ হাজারের কম হজযাত্রী থাকলেও চলতি বছর সে সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের নামে ৫ শতাধিক মানুষকে হত্যা ও অসংখ্য মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে আহত করেছে। আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করেন। তিনি হজে গিয়ে দেশ ও জাতির জন্য হজযাত্রীদের দোয়া করতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাথা নুইয়ে নয়, বিশ্ব দরবারে সম্মানের সাথে মাথা উচুঁ করে জাতি হিসেবে বাঁচতে চায়।