বগুড়ায় পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতা পিন্টুর মৃত্যু

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে মাসুদুল হক পিন্টু (৫০) নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তারের দুই ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশের মারপিটে অসুস্থ হয়ে পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

পিন্টু শাজাহানপুরের আশেকপুর ইউনিয়নের শাবরুল গ্রামের জাহান আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। তিনি শাজাহানপুর থানায় চলতি মাসে দায়ের করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পিন্টুর ভাগ্নে মোহাম্মদ সুমন জানান, পুকুর নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দায়ের করা একটি মামলায় আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান নিজবাড়ি থেকে তাঁর মামা পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পিন্টুকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পিন্টু মারা যান। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী দাবি করেন, মাসুদুল হক পিন্টুকে কোনো মারপিট করা হয়নি। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তিনি শাজাহানপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলার (মামলা নম্বর-১৯) এজাহারভুক্ত আসামি। মঙ্গলবার ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার পথে রানীরহাট এলাকায় তিনি স্ট্রোক করেন। এরপর তাঁর স্বজনদের নিয়ে তাঁকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।