‘বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা, যারা এখানে ‘কিন্তু’ বুঝে তাদের মনে পাক প্রেম রয়ে গেছে’

বিধান মুখার্জী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৭ উপলক্ষে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১ টায় আমন্ত্রিত অতিথিদের কালো ব্যাচ ধারণ ও আসন গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরবর্তীতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক এমপি ও ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ । অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ লায়লা পারভীন বানু। এছাড়াও এসময় ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন শাহিন , বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাঃ লায়লা পারভীন বানু তার বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি চারণ করে বলেন, ‘ আমার বাবাকে পাক হানাদারেরা হত্যা করার পর আমি যুদ্ধে যোগদান করি। যুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু রাজশাহী এলে সাজেদা আপা আমাকে ওনার কাছে নিয়ে গেলে উনি সব শুনে জাতির পিতা আমার মাথায় হাত রেখে বলেন ‘বড় হও’।আমার মনে হয় এই বড় হওয়া মানে মানুষের মত মানুষ হওয়া’। এছাড়াও তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে যুদ্ধাহত যোদ্ধাদের সেবা দেবার মাধ্যমে পথচলা শুরু করেছে সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগত শিক্ষার্থীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে তাদের উচ্চশিক্ষায় পদযাত্রা শুরু করে এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাগেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ানো হয়’।

বিশেষ অতিথি বেনজীর আহমেদ তার বক্তব্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, ‘ আমি এবং আমার চার ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। আমার বাবা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় সংগ্রামী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির পিতা। যারা এখানে ‘কিন্তু” বুঝে তাদের মনে পাক প্রেম রয়ে গেছে।বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে কিছু বামপন্থী ও স্বাধীনতা বিরোধীরা পাটের গুদামে আগুন দেয়া, খাদ্য শস্য লুণ্ঠন ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে জনবিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ঘাতকদল হত্যা করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে’। এছাড়া তিনি সকলকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান’।

অতিথিদের বক্তব্য শেষে শেখ মুজিবুর রহমান এবং একই পরিবারের নিহত সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।